বাংলাদেশে তৈরি বিশ্ব মানের পণ্যের গর্বিত উৎপাদক ও বিপননকারী হিসাবে আমরা ফেয়ার গ্রুপ ২০২১—’২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানাই। ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুহুল আলম আল মাহবুব বলেছেন, আমরা মনে করি, মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্ততার সবচেয়ে সাহসী ও সাবলীল উচ্চারণ— মেইড ইন বাংলাদেশ। দেশেই বিশ্ব মানের পণ্য উৎপাদনে দেশীয় যে শিল্পোদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিয়ে বিপুল বিনিয়োগ করছেন, অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষনা তাদের পাশে থাকার রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার। দেশীয় বিনিয়োগ সুরক্ষার এই ঘোষণায় শিল্পোদ্যোক্তারা অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন নতুন শিল্প—কারখানা গড়ে তুলে বিভিন্ন ধরণের পণ্য উৎপাদনে সাহসী হবেন। ফলে আমদানি নির্ভরতা যেমন কমবে, তেমনি বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা আরো বেগবান হবে। বিশ্বজুড়ে আরো উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।
ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, আমরা ফেয়ার গ্রুপ ইতোমধ্যে ইলেক্ট্রনিক্স ও গাড়ি শিল্পে বড় বিনিয়োগ করেছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘোষিত কর ও শুল্ক সুবিধাগুলো ভবিষ্যতে এই দুই খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে। স্মার্টফোনের স্থানীয় বাজারের ৯০ শতাংশ এ বছরের মধ্যেই দেশে তৈরি স্মার্টফোনের দখলে আসবে। আমরা এখন দেশেই তৈরি করছি স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনের মাদারবোর্ড। এবার বাজেটে কর ছাড়ের সুবিধা দেয়ায় মোবাইল ফোনের ব্যাটারি শিল্প খাতেও বড় বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দেশেই তৈরি করছি রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন এবং বিভিন্ন ধরণের হোম অ্যাপ্লায়েন্স। এবারের বাজেট প্রস্তাবনা রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার ও টেলিভিশনের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে বিনিয়োগের বড় সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
দেশে গাড়ি উৎপাদনে বিনিয়োগকারী হিসাবে আমরা ফেয়ার গ্রুপ বিশ্বাস করি, সরকার এবারের বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় গাড়ি উৎপাদন ও সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে। আমরা যারা এরই মধ্যে এই খাতে বিনিয়োগ করছি, তারা উপকৃত হবো। আমরা ফেয়ার গ্রুপ বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং এর ইকো সিস্টেম তৈরিতেও বড় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি। আরো অনেক উদ্যোক্তা নিশ্চয়ই এখন এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন। ফলে আগামী চার—পাঁচ বছরের মধ্যে অটোমোবাইল খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সার্বিকভাবে প্রস্তাবিত নতুন বাজেট নি:সন্দেহে বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আমরা আশা করি, বাজেটে প্রস্তাবিত কর ও শুল্ক সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে কার্যকর হবে। এতে নতুন নতুন বিনিয়োগের বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমাদের প্রিয় এই দেশ উন্নয়নের পথে আরো দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাবে। দেশে—বিদেশে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশে উৎপাদিত অজস্র পণ্য। যার গায়ে লেখা থাকবে: মেইড ইন বাংলাদেশ।