তারিখ ও স্থান: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, দি ওয়েস্টিন ঢাকা। ফেয়ার গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের হাত ধরে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড হাইসেন্স। গত ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকার দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে একটি জমকালো পার্টনার মিটে এই পার্টনারশিপের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এই পার্টনারশিপের আওতায় বৈশ্বিক মান বজায় রেখে হাইসেন্সের পণ্য এখন নরসিংদীর শিবপুরে অবস্থিত ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের অত্যাধুনিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব শেখ বশিরউদ্দীন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে হাইসেন্স ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট মিস ক্যাথরিন ফ্যাং। সারাদেশ থেকে আগত তিন শতাধিক পার্টনার, কর্পোরেট অতিথি, ব্যাংক ফিনান্স পার্টনারদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে হাইসেন্সের উদ্বোধন ঘোষণা করে জনাব জনাব শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আজকের এই অংশীদারিত্বের সূচনা লগ্নে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আর এই পার্টনারশিপকে সফল করার জন্য ফেয়ার গ্রুপ যে বিস্ময়কর কারখানা তৈরি করেছে তা দেখে অত্যন্ত গর্ব বোধ করছি। আমি মিস ফ্যাংকে আশ্বস্ত করছি যে এটি বিনিয়োগের দেশ। আমরা এই দেশটিকে ব্যবসার একটি গ্লোবাল হাব করার জন্য সম্ভাব্য সব কিছু আমরা করব। আমরা এই দেশের ভৌগলিক সুবিধা নিতে হাইসেন্সকে আমন্ত্রণ জানাই। মিস ক্যাথরিন ফ্যাং হাইসেন্সের গ্লোবাল ভিশন এবং বাংলাদেশের বাজারে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও ভ্যালুর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা স্থানীয় বাজার চাহিদার প্রতি ফোকাস করতে চাই। আমরা যখন বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করছি, তখন আমাদের বিশ্বায়নের কৌশলকেই কাজে লাগাতে হবে। একই সময়ে, ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে স্থানীয়ভাবে কাজ করার প্রতিও ফোকাস থাকতে হবে। জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ একটি বড় সম্ভাবনাময় বাজার এবং হাইসেন্স বিদেশী ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর থেকে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের সাথে পার্টনারশিপে, হাইসেন্স ফুল রেঞ্জের কঞ্জুমার ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সের স্থানীয় উত্পাদন এবং বিক্রয় শুরু করেছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।” বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন; তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর মহাপরিচালক (গ্রেড-১), জনাব এস এম ফেরদৌস আলম। ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, “বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় এক্সপোর্ট হাব। হাইসেন্স এটি বিবেচনা করেছে এবং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের সাথে পার্টনারশিপের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত উচ্চ সম্ভাবনাময় বাজার যেখানে গড় বয়স ২৭ বছরের নিচে এবং কঞ্জুমার ইলেকট্রনিক্সের পেনিট্রেশন খুবই কম। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে হাইসেন্স এই পার্টনারশিপকে সফল করতে আমাদের সমর্থন করবে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই পার্টনারশিপ বাংলাদেশে তৈরি হাইসেন্স পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানির নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।“ আধুনিক জীবনের চাহিদা মেটাতে এই অনুষ্ঠানে হাইসেন্সের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট টিভি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং এয়ার কন্ডিশনার সহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের বাজারে হাইসেন্সের প্রবেশের লক্ষ্য হচ্ছে গুণগত মান, ডিজাইন এবং প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা তৈরি করা। ফেয়ার গ্রুপের পরিচালক জনাব মোতাসসিম দাইয়ান, সিএমও জনাব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন, হেড অফ মার্কেটিং জনাব জে এম তসলিম কবীর এবং সিএফও জনাব কাজী নাসির উদ্দিন, এফসিএ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এই প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন। হাইসেন্স ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া অফিসের জিএম মিঃ জেসন ওয়াং এবং সেলস ডিরেক্টর মিঃ টেরি লিয়াং ও এই প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন। হাইসেন্স পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির অগ্রদূত হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় কার্যক্রমের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৬৪টি আন্তর্জাতিক অফিস প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম টেলিভিশন নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম, হাইসেন্স ১৬০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং তাদের অত্যাধুনিক পণ্যের মাধ্যমে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে। আরও তথ্যের জন্য, ভিজিট করুন www.hisense.com.bd বা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করুন এক্সক্লুসিভ অফার এবং আপডেটের জন্য।
এছাড়াও, হাইসেন্স টিভি ক্যাটাগরিতে চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়, এবং রেফ্রিজারেটর ক্যাটাগরিতে চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ১ নম্বর অবস্থান ধরে রেখেছে।